ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫ মেয়েকে নিয়ে কুয়ায় ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা!

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

একে একে সাতজন মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ। এ ঘটনায় ছোটখাটো বিষয় নিয়েও নিয়মতি ঝগড়া করেন স্বামী।

তাই রেগে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কুয়ার ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের রাজস্থানের চেচাত থানা এলাকার কালিয়াহেদি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই কুয়া থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর স্বামী কম্বল ও কাপড় ফেরি করেন। শনিবার রাতে একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার সকালে গ্রামবাসী ওই মরদেহগুলো কুয়ার মধ্যে দেখতে পান। এ খবর পেয়ে ওই নারীর স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন।

স্ত্রী-সন্তান কেন আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানাননি ওই কাপড় ব্যবসায়ী।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাজেন্দ্র মিনা বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওই কুয়াটি। সেখানেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই নারী। প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। কুয়া থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই গৃহবধূর বয়স ৪০ বছর। মেয়েদের বয়স ১ বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তবে ৭ বছর বয়সী ও ১৫ বছর বয়সী দুই মেয়ে আতঙ্কে মায়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। তারা বেঁচে আছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ মেয়েকে নিয়ে কুয়ায় ঝাঁপ দিয়ে মায়ের আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৬:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

একে একে সাতজন মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ। এ ঘটনায় ছোটখাটো বিষয় নিয়েও নিয়মতি ঝগড়া করেন স্বামী।

তাই রেগে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কুয়ার ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই নারী।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ভারতের রাজস্থানের চেচাত থানা এলাকার কালিয়াহেদি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই কুয়া থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর স্বামী কম্বল ও কাপড় ফেরি করেন। শনিবার রাতে একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার সকালে গ্রামবাসী ওই মরদেহগুলো কুয়ার মধ্যে দেখতে পান। এ খবর পেয়ে ওই নারীর স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন।

স্ত্রী-সন্তান কেন আত্মহত্যা করেছেন, এ বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানাননি ওই কাপড় ব্যবসায়ী।

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাজেন্দ্র মিনা বলেন, বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওই কুয়াটি। সেখানেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই নারী। প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। কুয়া থেকে ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই গৃহবধূর বয়স ৪০ বছর। মেয়েদের বয়স ১ বছর থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তবে ৭ বছর বয়সী ও ১৫ বছর বয়সী দুই মেয়ে আতঙ্কে মায়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। তারা বেঁচে আছে।