আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভবানীপুর হঠাৎপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম ছবি বিবি (৬৭)। তিনি ভবানীপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের স্ত্রী।
শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে বুধবার দুপুরে রাণীনগর উপজেলা সদরের নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ইমরান হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতার ইমরান নিহত ছবি বিবির ছোট মেয়ে শারমিন খাতুনের স্বামী।
নিহত ছবি বিবির বড় মেয়ে শাকিলা বেগম বলেন, আমার ছোটবোন শারমিন খাতুনের সঙ্গে প্রায় ৮ বছর আগে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরের হাসপাতাল গেট এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইমরানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। ইমরান নিয়মত নেশা গ্রহণ করায় বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলত।
কিছু দিন আগে ইমরান আমার ছোটবোন শারমিনকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এ ঘটনা নিয়ে আমার মা ও বোন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনা নিয়ে বোর্ডে (ইউনিয়ন পরিষদ) সালিশ হওয়ার কথা। তালাকের বিষয়টি বাড়াবাড়ি না করার জন্য ইমরান আমার বোন ও মাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।
গতকাল রাতে আমার মা তার ঘরে তিন নাতিকে নিয়ে শুয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমরান টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে আমার মাকে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিশুরা তাকে দেখেছে।
সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নওগাঁর মান্দা ও নিয়ামতপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মতিয়ার রহমান, নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ন কবির ও ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক।
এএসপি মতিয়ার রহমান বলেন, তিন শিশুর বর্ণনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃদ্ধার মেয়েজামাই রাতের অন্ধকারে শাশুড়িকে গলাটিপে হত্যা করেছে।
নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ছবি বিবির মেয়ে শাকিলা বেগম বাদী হয়ে ইমরানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।