ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

সম্পত্তি না দেওয়ায় বাবার ৪ আঙুল কেটে দিলো ছেলে

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি না দেওয়ায় ছুড়ি দিয়ে বাবা শহীদুল হকের (৭০) চার আঙুল কেটে দিয়েছে ছেলে হানিফ মিয়া (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ওই উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শহীদুল হকে ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে থাকেন।

জানা যায়, শহীদুলের ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সঙ্গে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন।

কিন্তু ছেলে ব্যবহার ভালো না থাকায় সম্পত্তি দিতে অসম্মতি জানায় বাবা। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে হানিফ। এসময় শহিদুলের হাতের ৪ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।

শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে কোপাতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, শফিউর রহমান বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তালুসহ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাছাড়া মাথা থেকে ঘাড় বরাবর ধারালো ছুটির আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলম বলেন, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সম্পত্তি না দেওয়ায় বাবার ৪ আঙুল কেটে দিলো ছেলে

আপডেট সময় ০৬:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

মাগুরা সদর উপজেলায় সম্পত্তি না দেওয়ায় ছুড়ি দিয়ে বাবা শহীদুল হকের (৭০) চার আঙুল কেটে দিয়েছে ছেলে হানিফ মিয়া (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ওই উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নে উথলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শহীদুল হকে ওই গ্রামেই বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার সঙ্গে থাকেন।

জানা যায়, শহীদুলের ছোট ছেলে হানিফ বিয়ের পর পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বসবাস শুরু করে। সংসার আলাদা হওয়ার পর সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই বাবার সঙ্গে কথাকাটাকাটি করতেন হানিফ। এছাড়া তার নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতেন।

কিন্তু ছেলে ব্যবহার ভালো না থাকায় সম্পত্তি দিতে অসম্মতি জানায় বাবা। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে হানিফ। এসময় শহিদুলের হাতের ৪ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ছেলে হানিফ পলাতক রয়েছেন।

শহিদুল হকের বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন, সকালে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন বাবা। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ভাই হানিফ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে বাবাকে কোপাতে থাকে। এতে বাবার হাতের চার আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় দোকানের থাকা অন্যান্য লোকজন চিৎকার দিলে হানিফ পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, শফিউর রহমান বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তালুসহ আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাছাড়া মাথা থেকে ঘাড় বরাবর ধারালো ছুটির আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলম বলেন, গুরুতর জখম শহীদুল হকের চিকিৎসা চলছে। ছেলে হানিফ মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে।