ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আ.লীগ নেতারা ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা তা সম্পূর্ণরূপে জনগণের সিদ্ধান্ত: মির্জা ফখরুল ফ্যাসিস্টদের মতো কারও কথা বলার অধিকার হরণ করা হবে না : প্রেস সচিব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরির পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাজধানীর দয়াগঞ্জে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ দুধ দিয়ে গোসল করে ৩৫ আন্দোলন থেকে সরে গেলেন আহ্বায়ক শুভ গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ৮ কর্মকর্তাকে

ছয় দিন ধরে নিখোঁজ নেত্রী, উদ্বেগে যৌনপল্লীর বাসিন্দারা

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

দেশের সর্ববৃহৎ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা নারী নেত্রী লিলি বেগম (৩৮) গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।

লিলি বেগমের নিখোঁজের ঘটনায় মুক্তি মহিলা সমিতি, স্বজন ও যৌনপল্লীর বাসিন্দারা গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ হতে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি লিলি বেগমের ভাগিনা শাফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা গেছে, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়া সামসু মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন বিকালে লিলি বেগম বাড়িতে না ফেরায় তার পল্লীর বাড়ির ভাড়াটিয়া পুষ্প ও ঝর্ণা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লিলির মোবাইল বন্ধ থাকায় তারা লিলির আত্মীয় স্বজনদের নিকট বিষয়টি জানায়।

স্বজনরাও নানাভাবে খোঁজ করে ব্যর্থ হন। যে কারণে লিলির বোনের ছেলে মো. শফি ইসলাম ১২ নভেম্বর এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসনের নিকট লিলি বেগমকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

এ বিষয়ে নিখোঁজের কথিত স্বামী লতিফ শেখ বলেন, লিলি বেগমের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের সুবাদে সে আমার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসে। খাবার শেষে সে চলে যেতে চাইলে আমার ছেলেকে দিয়ে তাকে রিকশায় উঠিয়ে দিই। এরপর থেকে আমার সঙ্গেও তার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মর্জিনা বেগম বলেন, লিলি বেগম অত্যন্ত ভালোমনের একজন মানুষ। তিনি পল্লীর অসহায় নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এ জন্য তার হয়তো কোনো শত্রু সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এভাবে তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন বলেন, নিখোঁজ লিলি বেগমকে উদ্ধারে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি তার নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষটা রাঙাতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ছয় দিন ধরে নিখোঁজ নেত্রী, উদ্বেগে যৌনপল্লীর বাসিন্দারা

আপডেট সময় ০৭:৩০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

দেশের সর্ববৃহৎ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা নারী নেত্রী লিলি বেগম (৩৮) গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি।

লিলি বেগমের নিখোঁজের ঘটনায় মুক্তি মহিলা সমিতি, স্বজন ও যৌনপল্লীর বাসিন্দারা গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ হতে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি লিলি বেগমের ভাগিনা শাফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা গেছে, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়া সামসু মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন বিকালে লিলি বেগম বাড়িতে না ফেরায় তার পল্লীর বাড়ির ভাড়াটিয়া পুষ্প ও ঝর্ণা মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লিলির মোবাইল বন্ধ থাকায় তারা লিলির আত্মীয় স্বজনদের নিকট বিষয়টি জানায়।

স্বজনরাও নানাভাবে খোঁজ করে ব্যর্থ হন। যে কারণে লিলির বোনের ছেলে মো. শফি ইসলাম ১২ নভেম্বর এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসনের নিকট লিলি বেগমকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

এ বিষয়ে নিখোঁজের কথিত স্বামী লতিফ শেখ বলেন, লিলি বেগমের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের সুবাদে সে আমার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসে। খাবার শেষে সে চলে যেতে চাইলে আমার ছেলেকে দিয়ে তাকে রিকশায় উঠিয়ে দিই। এরপর থেকে আমার সঙ্গেও তার আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মর্জিনা বেগম বলেন, লিলি বেগম অত্যন্ত ভালোমনের একজন মানুষ। তিনি পল্লীর অসহায় নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এ জন্য তার হয়তো কোনো শত্রু সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এভাবে তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন বলেন, নিখোঁজ লিলি বেগমকে উদ্ধারে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি তার নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।