আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
মেয়েটি ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ছাত্রদল নেতাকে। প্রায় চার বছরের ভালোবাসার সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। এক বছর গোপনও ছিল। মেয়েটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে, এখন অস্বীকার করছে ছাত্রদল নেতা।
তাই স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফাহরিন সুলতানা মাহিয়া (২৭) নামে এক নারী।
মাহিয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের সিকদারকান্দি গ্রামের মো. শহিদুল্লাহ হাওলাদারের মেয়ে।
আর ইমরান খান (৩১) একই উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কার্তিকপুর গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহিয়া সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ছাত্রদল নেতা ইমারানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালের ১৫ মে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে গোপনে তারা বিয়ে করেন। মাহিয়ার পরিবার তাদের বিয়ের বিষয়ে জানলেও ইমরান তাঁর পরিবারকে জানাননি। এরপর থেকে ইমরানের সঙ্গে তার গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে।
এভাবে এক বছর অতিক্রম হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান করে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাড়িতে নিতে ইমরানকে চাপ প্রয়োগ করেন মাহিয়া। কিন্তু সম্প্রতি ইমরান বিয়ে অস্বীকার করে তাকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু করেন।
মাহিয়া বলেন, ইসলাম ধর্মের রিতি অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে গোপনে ইমরান আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর তাঁর ভাইকে ইতালি পাঠাবে বলে আমার কাছ থেকে দুই ধাপে পাঁচ লাখ টাকাও নিয়েছে। তাঁর কথায় এক বছর বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখি। স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই বলায়, এখন ইমরান আমাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করছে। শুধু তাই নয় ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে চাকরি করছে রেশমা আক্তার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ইমরানের। তাছাড়া বেশ কয়েকটি মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তাঁর। আমার বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইমরানের এলাকার নেতাদের বিষয়টি জানালে তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আমি থানায় ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইমরান খান মোবাইল ফোনে বলেন, আমি মাহিয়াকে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। তাঁর চরিত্র খারাপ তাই তাঁর সঙ্গে সংসার করা সম্ভব নয়।
রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদার বলেন, ওই নারী বিষয়টি আমাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে। তবে তিনি পরিষদে আসেননি। দুই পরিবার আমার কাছে আসলে ব্যাপারটি দেখবো।