আকাশ জাতীয় ডেস্ক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পদ্মায় বুধবার নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে চারজনের লাশ।
এদিকে নৌকাডুবির পর পটলের বস্তার ওপর ভাসছিল দেড় বছরের এক শিশু। পাশে তার মা বস্তা ধরে কাঁদছিল।
ডুবে যাওয়ার সময় নৌকায় থাকা বেগুন ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, তীব্র স্রোত আর ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাটি। একটুপরই আরও একটি ঢেউয়ে আমাদের নৌকা উল্টে যায়। এ সময় আমি চোখ খুলেই দেখি চারদিকে মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কাকে ধরবো, কাকে বাঁচাবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমন সময় দেখি দেড় বছরের একটা বাচ্চা পটলের বস্তার ওপর অঝোরে কাঁদছে। তাড়াতাড়ি গিয়ে বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে নৌকায় পৌঁছে দেই।
শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত নতুন করে কারও সন্ধান মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিবগঞ্জের বোগলাউড়ি ঘাট থেকে একটি যাত্রীবোঝায় নৌকা পাঁকা ইউনিয়নের বিশ রশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় নৌকাটি লক্ষীপুর চরের সামনে পৌঁছালে বাতাসের কবলে পরে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় মৃতরা হলেন- পাঁকা ইউনিয়নের বিশ রশিয়া গ্রামের খাইরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফা বেগম (৫০) ও সদর উপজেলার নারায়ণপুরের বাবু আলীর মেয়ে মাইশা খাতুন (৫), সদর উপজেলার নারায়ণপুরের ফিটুর ছেলে আসমাউল (৫) ও মেয়ে আয়েশা (৩)। এর মধ্যে নিলুফা ও মাইশা সম্পর্কে নানি-নাতনি এবং আসমাউল-আয়েশা সম্পর্কে ভাইবোন।
নিখোঁজরা হলেন, দশরোশিয়া এলাকার সাজ্জাদ আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম (৫০), একই এলাকার বাবু ইসলামর ছেলে আসমাউল হক (১২), নারায়ণপুর এলাকার হারুন আলীর স্ত্রী ডেইজি বেগম (২৭) ও তার মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (৭), জংলা পাড়া এলাকার আমিন আলীর মেয়ে আমেনা খতুন (১২), ও তার ছেলে মাসুম আলী (৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ পরিচালক সাবের আলী প্রামাণিক। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত নতুন করে কারও সন্ধান মেলেনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জের বোগলাউড়ি ঘাট থেকে একটি যাত্রীবোঝায় নৌকা পাঁকা ইউনিয়নের বিশ রশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় নৌকাটি লক্ষীপুর চরের সামনে পৌঁছালে বাতাসের কবলে পরে ডুবে যায়।