অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি হিমশৈল অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভেঙে গেছে। আয়তনে এটি প্রায় ব্রিটেনের ওয়েলস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার রাজ্যের চেয়ে বড়।মার্কিন একটির উপগ্রহ এই হিমশৈলের ভাঙন পর্যবেক্ষণ করে যা লারসেন সি আইস শেলফ নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা গত এক দশক ধরে এর আশঙ্কা করছিলেন। ২০১৪ সালের পরে এর ভাঙনের প্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০ মিটার ঘন হিমশৈলটি অ্যান্টার্কটিকা থেকে ভেঙে গেলেও খুব বেশি দূরে যাবে না। তবে এটিকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সমুদ্রের ঢেউ ও বাতাসে এটি অ্যান্টার্কটিকার উত্তরের দিকে যাবে যা ওই অঞ্চলে জাহাজের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই ১০ থেকে ১২ এর মধ্যে লারসেন সি আইস শেলফের ৫ হাজার ৮শ কিলোমিটার হিমশৈল আলাদা হয়ে পড়ে। হিমশৈলটির ওজন ট্রিলিয়ন টনেরও বেশি, তবে আগে থেকেই ভাসমান অবস্থাই থাকায় এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
হিমশৈল ভেঙে পড়া প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে, তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এই প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে তুলছে বলে ধারণা করা হয়। সমুদ্রের উষ্ণ পানি হিমশৈলের নিচের দিকের পানি তরল করে দেয়। লারসেন সি এর নিকটবর্তী হিমশৈল লারসেন এ ১৯৯৫ সালে আলাদা হয়ে পড়ে এবং এর ৭ বছর পরে নাটকীয়ভাবে লারসেন বি ভেঙে যায়। চূড়ান্ত ভাঙনটি নাসার উপগ্রহে ধরা পড়ে। সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয়েল বিবৃতিতে বলা হয়, লারসেন সি এর ভেঙে পড়াকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেনি, বরং একে প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছে।