অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের অনেক দেশেই গুরু উৎপাদন করা হয়। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া গরু উৎপাদন, লালন-পালন ও বাজারজাতকরণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এসব গরু মোটতাজাকরণে ঘাস, খড়, ভুট্রা, খৈল, নালি, গমসহ বিভিন্ন পদের খাবার খাওয়ানোর প্রচলন রয়েছে।
এর বাইরে যদি গরুকে চকলেট খাওয়ানো হয়, তবে সেটা ভিন্ন স্বাদের খবরই বটে। আর সেই খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মঙ্গলবার এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মাউন্ট গাম্বিয়া অঞ্চলে গরুকে খাওয়ানো হয় চকলেট। সাধারণত গরুর খামারগুলোতে লালন-পালন করা গরুকে চকলেট খাওয়ানো হয়।
জাপানি বংশোদ্ভূত ওয়াগু প্রজাতির এসব গরুর মাংস আরো বেশি সুস্বাদু করা জন্য ঘাস, খড়, ভুট্রা, মটরশুটি ও গমের পাশাপাশি চকলেট, ক্যান্ডি ও বিস্কুট খাওয়ানো হয়ে থাকে।
মায়ুরা স্টেশন বা মায়ুরা গরুর খামার ওই অঞ্চলে বেশ পরিচিত নাম। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে গরু উৎপাদন করা হয়। ১৮৪৫ সাল থেকে মায়ুরা গরুর খামার পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আয়তন প্রায় ৩ হেক্টর। বর্তমানে এ খামারে ২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। মায়ুরার মতো অ্যাননা ক্রেক স্টেশন রয়েছে। যার আয়তান প্রায় ৬ লাখ হেক্টর জমি।
এসব খামারে লাল ও কালো এই দুই রংয়ের ওয়াগু প্রজাতির গরু পাওয়া। যার মধ্যে কালো রংয়ের গরু উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন এবং এর চাহিদা বেশি। এসব গরু বিক্রি বা জবাইয়ের দুই মাস আগে থেকে প্রতিদিন দুই কেজি পরিমাণ চকলেট, ক্যান্ডি ও বিস্কুট খাওয়ানো হয়।
সেইসঙ্গে স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে গম, ভুট্রা, খড়, ঘাস ও মটরশুটির মিক্সার খাইয়ে গরুকে ৭০ শতাংশ বেশি মোটাতাজা করা যায়। যা গরুর খামারিদের প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।