ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শুধু নির্বাচনের জন্য ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবেন দুদকের নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনাররা :আবদুল মোমেন মন্ত্রণালয়ে রাজাকারের কোনো তালিকা নেই : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে :নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে জাপান এখন যুদ্ধের মাধ্যম সমাবেশ বা মিছিল নয়, বরং’সাইবার যুদ্ধ: ফখরুল তরুণ প্রজন্মকে মাইনাস করে পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের চিন্তা ভুল : হাসনাত আব্দুল্লাহ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণের জন্য নয় : রিজভী দেশের মানুষ এখন আর কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না: জামায়াত আমির আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মার্কিন বোমারু বিমানকে উড়তে দেখা গেছে। বিমান উড্ডয়নের ওই ঘটনাকে মিত্র জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার অংশ বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। দেশটির বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবেই তারা দক্ষিন চীন সাগরে মহড়া দিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ অঞ্চলে কিছু প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল খুবই বিরোধপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।

সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমানগুলি উড়ানো হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকৃত নিজস্ব জলসীমার ওপর দিয়েই চক্কর কেটেছে মার্কিন বোমারু বিমানগুলি।

দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সারাবছর যাতায়াত করে। ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দক্ষিণ চীন সাগর আন্তর্জাতিক জলভাগ এবং সেখানে স্বাধীনভাবে যাতায়াতের সুযোগ সব দেশেরই রয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে মার্কিন রণতরী প্রবেশ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইটন দ্বীপে রণতরী ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে চীন। বেইজিং-এর দাবিকৃত দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রণতরী প্রবেশ করায় নতুন করে এখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। একে মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামরিক উষ্কানি উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে বোমারু বিমান উড়িয়ে ওই জলসীমায় বেইজিং-এর সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করলো যুক্তরাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মার্কিন বোমারু বিমানকে উড়তে দেখা গেছে। বিমান উড্ডয়নের ওই ঘটনাকে মিত্র জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার অংশ বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। দেশটির বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবেই তারা দক্ষিন চীন সাগরে মহড়া দিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ অঞ্চলে কিছু প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল খুবই বিরোধপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমানগুলি উড়ানো হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকৃত নিজস্ব জলসীমার ওপর দিয়েই চক্কর কেটেছে মার্কিন বোমারু বিমানগুলি। দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সারাবছর যাতায়াত করে। ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দক্ষিণ চীন সাগর আন্তর্জাতিক জলভাগ এবং সেখানে স্বাধীনভাবে যাতায়াতের সুযোগ সব দেশেরই রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে মার্কিন রণতরী প্রবেশ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইটন দ্বীপে রণতরী ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে চীন। বেইজিং-এর দাবিকৃত দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রণতরী প্রবেশ করায় নতুন করে এখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। একে মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামরিক উষ্কানি উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে বোমারু বিমান উড়িয়ে ওই জলসীমায় বেইজিং-এর সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করলো যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান

আপডেট সময় ০১:২৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মার্কিন বোমারু বিমানকে উড়তে দেখা গেছে। বিমান উড্ডয়নের ওই ঘটনাকে মিত্র জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার অংশ বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। দেশটির বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবেই তারা দক্ষিন চীন সাগরে মহড়া দিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ অঞ্চলে কিছু প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল খুবই বিরোধপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে।

সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমানগুলি উড়ানো হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকৃত নিজস্ব জলসীমার ওপর দিয়েই চক্কর কেটেছে মার্কিন বোমারু বিমানগুলি।

দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সারাবছর যাতায়াত করে। ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দক্ষিণ চীন সাগর আন্তর্জাতিক জলভাগ এবং সেখানে স্বাধীনভাবে যাতায়াতের সুযোগ সব দেশেরই রয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে মার্কিন রণতরী প্রবেশ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইটন দ্বীপে রণতরী ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে চীন। বেইজিং-এর দাবিকৃত দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রণতরী প্রবেশ করায় নতুন করে এখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। একে মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামরিক উষ্কানি উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে বোমারু বিমান উড়িয়ে ওই জলসীমায় বেইজিং-এর সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করলো যুক্তরাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মার্কিন বোমারু বিমানকে উড়তে দেখা গেছে। বিমান উড্ডয়নের ওই ঘটনাকে মিত্র জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ার অংশ বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। দেশটির বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে এক যৌথ মহড়ার অংশ হিসেবেই তারা দক্ষিন চীন সাগরে মহড়া দিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। এশিয়ার অন্যান্য দেশও এ অঞ্চলে কিছু প্রবাল প্রাচীর ও দ্বীপের মালিকানা দাবি করে। ফলে এই অঞ্চল খুবই বিরোধপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন। অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমানগুলি উড়ানো হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিকৃত নিজস্ব জলসীমার ওপর দিয়েই চক্কর কেটেছে মার্কিন বোমারু বিমানগুলি। দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে বিভিন্ন দেশের পণ্যবাহী জাহাজ সারাবছর যাতায়াত করে। ওই অঞ্চলকে চীন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, দক্ষিণ চীন সাগর আন্তর্জাতিক জলভাগ এবং সেখানে স্বাধীনভাবে যাতায়াতের সুযোগ সব দেশেরই রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে মার্কিন রণতরী প্রবেশ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইটন দ্বীপে রণতরী ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে চীন। বেইজিং-এর দাবিকৃত দ্বীপটির ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ রণতরী প্রবেশ করায় নতুন করে এখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। একে মারাত্মক রাজনৈতিক ও সামরিক উষ্কানি উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশে বোমারু বিমান উড়িয়ে ওই জলসীমায় বেইজিং-এর সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করলো যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চীনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।