অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:
বাংলাদেশ, সারা বিশ্বে একমাত্র দেশ যার মাতৃভাষার সাথে সাথে রাষ্ট্রীয় ভাষাটাও বাংলা। সারাদেশের যে অঞ্চলেই যাওয়া হোক না কেন প্রতিটি মানুষ বাংলা বোঝেন, জানেন এবং কথা বলেন। এ নিয়ে গর্বের অন্ত নেই বাঙালিদের। ভাষার নামেই দেশের নাম। বিশ্বের আর কোনো দেশে রাষ্ট্রভাষা কিংবা সরকারি ভাষা বাংলা নেই, এমনটাই ধারণা ছিল প্রত্যেকের। কিন্তু তা ভুল! আফ্রিকার একটি প্রায় নাম না-জানা দেশের অন্যতম সরকারি ভাষাও বাংলা!
পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলবর্তী একটি দেশ সিয়েরা লিওন। এই দেশটি পরিচিত টাইটানিয়াম এবং বক্সাইট উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে। তাছাড়াও সোনা এবং হিরে উৎপাদনেও এগিয়ে সিয়েরা লিওন। আটলান্টিক মহাসাগরের পাশের এই দেশের অন্যতম সরকারি ভাষা বাংলা। কিন্তু তা বলে এটাও নয় যে, সে দেশের সব মানুষ বাংলায় কথা বলেন।
১৯৬১ সালে স্বাধীন হয় সিয়েরা লিওন। স্বাধীনতার ৩০ বছরের মাথায়, ১৯৯১ সালে, প্রবল দুর্নীতি এবং দেশের সম্পদ লুটপাটের প্রতিবাদে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় দেশটিতে। ২০০২ সাল পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলে।
গৃহযুদ্ধ থামাতেই হস্তক্ষেপ করে জাতিসংঘ এবং এই পর্যায়েই জাতিসংঘ প্রতিনিধি হিসেবে সিয়েরা লিওনে আসেন প্রায় ৫৩০০ জন বাংলাদেশি সেনা।
পিসকর্পের অবদানেই শেষ পর্যন্ত শান্তি ফিরে আসে সিয়েরা লিওনে এবং এই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই সেদেশের রাষ্ট্রপতি আলহাজ আহমেদ তেজান কাবাহ্ ২০০২ সালে ‘বাংলা’ ভাষাকে সিয়েরা লিওনের ‘সম্মানিক সরকারি ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সিয়েরা লিওন বাংলাদেশের পর একমাত্র রাষ্ট্র, যেখানে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।