ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৪-এর মধ্যে জনসংখ্যায় চীনকে টপকাবে ভারত

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

২০২৪ সালের মধ্যে ভৌগোলিক আয়তনে তিন গুণ কম হওয়া সত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। জাতিসংঘের নতুন এক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে জনসংখ্যায় ভারত চীনকে ছাড়াবে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা ১০০ কোটি ৪১ লাখ আর ভারতের ১০০ কোটি ৩৪ লাখ। জনসংখ্যার দিক থেকে দেশ দুটি বিশ্বে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চীনের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ। আর ভারতের ১৮ শতাংশ। আগামী সাত বছরের মধ্যে বা ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালের পরও কয়েক দশক ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সালে দেশটির জনসংখ্যা হবে দেড় শ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১০০ কোটি ৬৬ লাখ। আর ২০৩০-এর দশকের আগ পর্যন্ত চীনের জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে। ২০৩০-এর পর দেশটির জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক-বিষয়ক দপ্তরের জনসংখ্যা বিভাগ পূর্বাভাসে আরও বলেছে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭০০ কোটি ৬০ লাখ। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮০০ কোটি ৬০ লাখে। ২০৫০ সালে হবে ৯০০ কোটি ৮০ লাখ এবং ২১০০ সালে হবে ১১০০ কোটি ২০ লাখ।

ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি ৩০ লাখ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটিতে যে জনসংখ্যা ছিল, বর্তমান জনসংখ্যা তার চার গুণ। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখনো বেশি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার অন্য জনবহুল দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া (২৫ কোটি ৮০ লাখ), পাকিস্তান (১৮ কোটি ৯০ লাখ), বাংলাদেশ (১৬ কোটি ১০০ লাখ), জাপান (১২ কোটি ৭০ লাখ) ও ফিলিপাইন (১০ কোটি ১০ লাখ)।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হলো ভুটান, ব্রুনেই ও মালদ্বীপ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব এশিয়া কাপ জয়ীদের মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেবে বিসিবি

২০২৪-এর মধ্যে জনসংখ্যায় চীনকে টপকাবে ভারত

আপডেট সময় ০৫:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০১৭

অাকাশ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

২০২৪ সালের মধ্যে ভৌগোলিক আয়তনে তিন গুণ কম হওয়া সত্ত্বেও ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। জাতিসংঘের নতুন এক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২২ সালের মধ্যে জনসংখ্যায় ভারত চীনকে ছাড়াবে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে চীনের জনসংখ্যা ১০০ কোটি ৪১ লাখ আর ভারতের ১০০ কোটি ৩৪ লাখ। জনসংখ্যার দিক থেকে দেশ দুটি বিশ্বে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। চীনের জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ। আর ভারতের ১৮ শতাংশ। আগামী সাত বছরের মধ্যে বা ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালের পরও কয়েক দশক ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ২০৩০ সালে দেশটির জনসংখ্যা হবে দেড় শ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১০০ কোটি ৬৬ লাখ। আর ২০৩০-এর দশকের আগ পর্যন্ত চীনের জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে। ২০৩০-এর পর দেশটির জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক-বিষয়ক দপ্তরের জনসংখ্যা বিভাগ পূর্বাভাসে আরও বলেছে, বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭০০ কোটি ৬০ লাখ। ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৮০০ কোটি ৬০ লাখে। ২০৫০ সালে হবে ৯০০ কোটি ৮০ লাখ এবং ২১০০ সালে হবে ১১০০ কোটি ২০ লাখ।

ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি ৩০ লাখ। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশটিতে যে জনসংখ্যা ছিল, বর্তমান জনসংখ্যা তার চার গুণ। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখনো বেশি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার অন্য জনবহুল দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া (২৫ কোটি ৮০ লাখ), পাকিস্তান (১৮ কোটি ৯০ লাখ), বাংলাদেশ (১৬ কোটি ১০০ লাখ), জাপান (১২ কোটি ৭০ লাখ) ও ফিলিপাইন (১০ কোটি ১০ লাখ)।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হলো ভুটান, ব্রুনেই ও মালদ্বীপ।