অাকাশ নিউজ ডেস্ক:
লেবু কেটে চিপে রস বের করে খেয়ে নিলেই হলো। কিন্তু যে অংশটা ফেলে দিলেন তার গুণের বয়ান কয়জনই বা জানেন? কেবল এর ছিলকার কার্যকারিতা শুনলে বুঝবেন, রসের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় এটি। লেবুর অবহেলিত ছিলকার জাদুকরি গুণের কথা জেনে নিন।
ভিটামিন-পুষ্টি: ভিটামিনের একটি তালিকাই রয়েছে খোসায়। মিলবে খনিজ ও ফাইবার। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম আর ভিটামিন ‘সি’-এর সরবরাহ পর্যাপ্ত। দেহের যেকোনো পুষ্টির অভাব পূরণে শক্তিশালী এক উৎস লেবুর খোসা। স্বাস্থ্যকর পাচক রসও পাবেন এতে। মাত্র ৬ গ্রাম ছিলকায় মিলবে ৩ ক্যালোরি, ০.০২ গ্রাম ফ্যাট, ০.৩৬ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৯.৬ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ০.৯৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৬৪ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ফাইবার, ০.০৯ গ্রাম প্রোটিন, ৩ ইন্টারন্যাশনাল ইউটিন ভিটামিন এ, ৭.৭৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ৮.০৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আর ০.০৫ মিলিগ্রাম আয়রন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, চায়ের মধ্যে এর খোসা দিলে দেহের ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষগুলো আর বৃদ্ধি পায় না। এসিডপূর্ণ দেহে মাথাচাড়া দেয় ক্যান্সার। আর সেখানে লেবুর ছিলকা ক্ষারীয় অবস্থার মাধ্যমে পিএইচের মাত্রায় ভারসাম্য আনে।
হাড়ের স্বাস্থ্য: এটি হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় ব্যাপক কাজের। হাড়সংক্রান্ত যেকোনো রোগ সামলাতেও বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টেওপোরোসিস আর রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস মোকাবেলায় লেবুর খোসা শক্তিশালী অস্ত্র।
মুখের স্বাস্থ্য: যখন মুখ দিয়ে এই ফলের খোসা খাচ্ছেন, তখন কিন্তু মুখেরও উপকার হচ্ছে। এমনিতেই ভিটামিন ‘সি’ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সক্ষম। স্কার্ভি, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও গিনগিভাইটিসের মতো রোগ ঠেকাতে শক্ত ঢাল লেবুর ছিলকা।
ওজন হ্রাস: এমনকি বাড়তি ওজন ঝরাতেও এই খোসার ওপর নির্ভর করা যায় বলে প্রমাণ দিয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণা। এতে আছে বিশেষ এক উপাদান, যার নাম পেকটিন। দেহের ওজন কমাতে এটি খুবই কার্যকর।