ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে জামাই মেলা

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পলাশপুরে সাত দিনব্যাপী জামাই মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর নবান্ন উৎসব ঘিরে এ মেলা হয়ে থাকে। এই মেলা ঘিরে ঘরে-ঘরে জামাইরা শ্বশুর বাড়ি আসেন। মেলায় বড় আকর্ষণ বাহারি বড়-বড় মাছ ও মিষ্টি। এই মেলায় বড়-বড় রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়।

জামাইরা মেলায় এসে প্রতিযোগিতা করে মাছ কেনেন। এদিকে কে কত বড় মাছ কিনেছেন তা দেখার জন্য মেলায় আসেন প্রতিবেশীরাও। শুধু মাছ-মিষ্টি নয়, মেলায় রয়েছে, খেলনা, চুড়ি, নাগরদোলা, ভূতের বাড়ি, যাদু খেলা, ট্রেন, ঘোরদৌড়, লাঠি খেলা ও বাহারী খাবার।

মেলা কমিটির সভাপতি মোঃ খালেদ মাসুদ সোহেল তালুকদার বলেন, প্রতিবছর ১৭ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হয়ে সাতদিন চলে। এই মেলা থেকে জামাইরা বড়-বড় মাছ, মিষ্টি কিনে শ্বশুর বাড়ি যায়। মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, মেলায় পুলিশের পাশাপাশি মেলা কমিটির ভলান্টিয়ারসহ এলাকার লোকজন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, এখানে নির্দ্বিধায় মেলায় এসে সবাই নিরাপদে মেলার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

মোঃ শহিদুল ইসলাম নামে এক জামাই বলেন, প্রতি বছর তিনি এই মেলার আগের দিন শ্বশুর বাড়ি আসেন। এবার মেলা থেকে ৮ হাজার টাকার বড় একটি মাছ ও ৪ কেজি মিষ্টি কিনেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যুব এশিয়া কাপ জয়ীদের মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দেবে বিসিবি

জামালপুরে জামাই মেলা

আপডেট সময় ১১:৫০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ নিউজ ডেস্ক :

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার পলাশপুরে সাত দিনব্যাপী জামাই মেলা শুরু হয়েছে। প্রতিবছর নবান্ন উৎসব ঘিরে এ মেলা হয়ে থাকে। এই মেলা ঘিরে ঘরে-ঘরে জামাইরা শ্বশুর বাড়ি আসেন। মেলায় বড় আকর্ষণ বাহারি বড়-বড় মাছ ও মিষ্টি। এই মেলায় বড়-বড় রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, পাঙ্গাস, সিলভার কার্প এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ বিক্রি হয়।

জামাইরা মেলায় এসে প্রতিযোগিতা করে মাছ কেনেন। এদিকে কে কত বড় মাছ কিনেছেন তা দেখার জন্য মেলায় আসেন প্রতিবেশীরাও। শুধু মাছ-মিষ্টি নয়, মেলায় রয়েছে, খেলনা, চুড়ি, নাগরদোলা, ভূতের বাড়ি, যাদু খেলা, ট্রেন, ঘোরদৌড়, লাঠি খেলা ও বাহারী খাবার।

মেলা কমিটির সভাপতি মোঃ খালেদ মাসুদ সোহেল তালুকদার বলেন, প্রতিবছর ১৭ ডিসেম্বর এই মেলা শুরু হয়ে সাতদিন চলে। এই মেলা থেকে জামাইরা বড়-বড় মাছ, মিষ্টি কিনে শ্বশুর বাড়ি যায়। মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, মেলায় পুলিশের পাশাপাশি মেলা কমিটির ভলান্টিয়ারসহ এলাকার লোকজন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, এখানে নির্দ্বিধায় মেলায় এসে সবাই নিরাপদে মেলার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

মোঃ শহিদুল ইসলাম নামে এক জামাই বলেন, প্রতি বছর তিনি এই মেলার আগের দিন শ্বশুর বাড়ি আসেন। এবার মেলা থেকে ৮ হাজার টাকার বড় একটি মাছ ও ৪ কেজি মিষ্টি কিনেছেন।