ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নতুন ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিছু হলেই লেজ তুলে পালিয়ে যাওয়াই আ.লীগের স্বভাব: টুকু বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে আঘাত পেয়েছে : চরমোনাই পীর বিগত তিন নির্বাচনে জনগণ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেনি ফ্যাসিস্টের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে যাব না: নাসির পাটোয়ারী খুনিদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘নির্যাতনের জবাব হিংসায় নয়, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিতে চাই’: তারেক রহমান ক্যান্সারের টিকা তৈরি রাশিয়ার, শিগগিরিই বিনামূল্যে বিতরণ হাসিনাকে দিল্লি ছাড়া দুনিয়ার আর কেউ সমর্থন করেনি : রুহুল কবির রিজভী বাবা নিরপরাধ ছিলেন, তা প্রমাণিত হলো : নিজামীর ছেলে মোমেন

কিছু হলেই লেজ তুলে পালিয়ে যাওয়াই আ.লীগের স্বভাব: টুকু

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের দোকান খুলে টোটকা মলম বিক্রি করেছে; কিন্তু ইতিহাস সেটা নয়। তাদের ইতিহাস পলায়নের। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তারা পালিয়েছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭১-এর পরে গাছের পাতাও বাকশাল ছিল; কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তাদের নেতার লাশ পড়ে থাকলেও সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের স্বভাব কিছু হলেই লেজ তুলে মামু বাড়িতে পালিয়ে যায়।

বুধবার বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ মুজিব ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ওটা ছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব প্রাপ্তির ভাষণ। তবে ওটা ওনার জীবনের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা হলে ওই জনসভা থেকে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তার ঘোষণায় উদ্বেলিত হয়ে বাংলার জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলছে এ দেশের সাত কোটি মানুষের বিজয়ের ইতিহাস নাকি তাদের। মোদির এ ঔদ্ধত্যের দায় শুধু আওয়ামী লীগের।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সামনে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসবে; কিন্তু তাদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। আপনারা আনন্দ উল্লাস মেতেন না। ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্য মানুষের ভালোবাসা অর্জনের চেষ্টা করেন।

আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবিরুল হক সাবু প্রমুখ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু হলেই লেজ তুলে পালিয়ে যাওয়াই আ.লীগের স্বভাব: টুকু

আপডেট সময় ১১:২৪:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের দোকান খুলে টোটকা মলম বিক্রি করেছে; কিন্তু ইতিহাস সেটা নয়। তাদের ইতিহাস পলায়নের। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তারা পালিয়েছে। কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ৭১-এর পরে গাছের পাতাও বাকশাল ছিল; কিন্তু ১৫ আগস্টের পর তাদের নেতার লাশ পড়ে থাকলেও সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের স্বভাব কিছু হলেই লেজ তুলে মামু বাড়িতে পালিয়ে যায়।

বুধবার বিকালে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শেখ মুজিব ৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ওটা ছিল প্রধানমন্ত্রীত্ব প্রাপ্তির ভাষণ। তবে ওটা ওনার জীবনের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা হলে ওই জনসভা থেকে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ত। স্বাধীনতার ঘোষণা এসেছিল জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে। তার ঘোষণায় উদ্বেলিত হয়ে বাংলার জনগণ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলছে এ দেশের সাত কোটি মানুষের বিজয়ের ইতিহাস নাকি তাদের। মোদির এ ঔদ্ধত্যের দায় শুধু আওয়ামী লীগের।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সামনে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে আসবে; কিন্তু তাদের জায়গা বিএনপিতে হবে না। আপনারা আনন্দ উল্লাস মেতেন না। ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এজন্য মানুষের ভালোবাসা অর্জনের চেষ্টা করেন।

আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবিরুল হক সাবু প্রমুখ।