আকাশ জাতীয় ডেস্ক :
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ১৭ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী একে এম রাকিব সভাপতি এবং ইতিহাস বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি প্রকাশ করা হয়৷
এছাড়া কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মনিরুজ্জামান মনির ও মুহাম্মদ আলমগীর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সোহান প্রামাণিক ও ফরহাদ ইবনে বাসিত, সাংগাঠনিক সম্পাদক পদে তাওহিদুল ইসলাম, সহ-সাংগাঠনিক পদে মো. ফারুক ও রবিউল হাসান নয়ন রয়েছেন।
এছাড়া কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক পদে কাজী আহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, অর্থ সম্পাদক পদে মো. নুহীন ফিল আল আমিন, সহ-অর্থ সম্পাদক পদে ফাহাদুল ইসলাম নোবেল, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. আসিফ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদে জাহিদ হাসান হিমেল, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে তামিম হোসেন এবং শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক পদে রিয়াদ হাসান রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে নব মনোনীত সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, নামটার জন্মই হয়েছে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ ২০১৮ থেকেই কাজ করে যাচ্ছে এবং এখনও সেটা ধরে রেখেছে, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের বিলিয়ে দেবো, আগে যেমন কাজ করেছি ঠিক তারচেয়ে কয়েকগুন বেশি দায়িত্ব বেড়ে গেল। আমাদের প্রধান শক্তিই শিক্ষার্থীরা।
রাব্বি আরও বলেন, আমি সবসময় আমার ক্যাম্পাসকে আমাদের দেশের সঙ্গে তুলনা করি। আমি যদি আমার ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার তাদের বুঝিয়ে না দিতে পারি, তাহলে দেশের মানুষের সেবা কেমন করে করবো? আমাদের রাজনীতিই শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে চাই। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। সর্বোপরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন সদস্য হয়ে নিজেকে দায়িত্ববান করে গড়ে তুলতে চাই। আমি লড়বো আমার দেশের মানুষের জন্য।
এর আগে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ রাইসুল ইসলামকে সভাপতি ও আবু বকর খানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্র অধিকারের ১২ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর মেয়াদ শেষের টানা প্রায় সাড়ে তিন বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কমিটি ছিল না।