ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগে যারা নিরপরাধ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন :ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে আর নাস্তিক্যবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না :ধর্ম উপদেষ্টা চব্বিশের আন্দোলনের প্রথম সারির নায়ক ছাত্রশিবির: কেন্দ্রীয় সভাপতি আন্দোলন পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসায় রাষ্ট্রপতি শহিদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না : নতুন সিইসি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলো আইসিসি আমরা গর্বিত যে খালেদা জিয়াকে আনতে পেরেছি : প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ পাকিস্তানের : পররাষ্ট্র মুখপাত্র তৌফিক হাসান জনগণ যাতে ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর গ্রেফতার

স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন নাদিয়া সুলতানা নামে এক সন্তানের জননী। রোববার তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নাদিয়া সুলতানা (২৫) উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ইউসুফ হোসেন রনির মেয়ে ও একই গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেনের স্ত্রী। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করে।

নাদিয়ার বাবার অভিযোগ, স্বামীর বাড়ির মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

সরেজমিন জানা যায়, গত ৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের এমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় নাদিয়া সুলতানার। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছর বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী এমরান হোসেন জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকলেও স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা সে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সম্প্রতি নাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে এরপর থেকে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

মৃত নাদিয়ার বাবা ইউসুফ হোসেন রনি বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামীর পরিবার। নাতিনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব সহ্য করতে বলেছিলাম। গত ২০ দিন আগে মেয়েকে স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার আদরের মেয়ে নির্যাতন ও মিথ্যা অপমান সইতে না পেরে সে শনিবার রাতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মনে করি আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করব।

নাদিয়া সুলতানার স্বামী এমরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, নাদিয়া সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১১:২১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

আকাশ জাতীয় ডেস্ক :

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামীর বাড়িতে নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন নাদিয়া সুলতানা নামে এক সন্তানের জননী। রোববার তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নাদিয়া সুলতানা (২৫) উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের ইউসুফ হোসেন রনির মেয়ে ও একই গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেনের স্ত্রী। এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করে।

নাদিয়ার বাবার অভিযোগ, স্বামীর বাড়ির মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়।

সরেজমিন জানা যায়, গত ৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের এমরান হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় নাদিয়া সুলতানার। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছর বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী এমরান হোসেন জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকলেও স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারা সে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সম্প্রতি নাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে এরপর থেকে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

মৃত নাদিয়ার বাবা ইউসুফ হোসেন রনি বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামীর পরিবার। নাতিনের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব সহ্য করতে বলেছিলাম। গত ২০ দিন আগে মেয়েকে স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমার আদরের মেয়ে নির্যাতন ও মিথ্যা অপমান সইতে না পেরে সে শনিবার রাতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মনে করি আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করব।

নাদিয়া সুলতানার স্বামী এমরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, নাদিয়া সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।