ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরায় ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গৃহকর্তার দাবি আত্মহত্যা

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে একটি বাসায় রুবি বেগম (১৮) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে গৃহকর্তার দাবি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রুবি নেত্রকোনা সদর উপজেলার কচু দিয়ারী গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্তা মো. আনিস চৌধুরী দাবি করেন, আড়াই বছর ধরে তার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে রুবি। গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল, সম্প্রতি ডিভোর্সও হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি। এটি নিয়ে শুক্রবারও রুবি ঘুমের ওষুধ সেবন করেছিলো। শনিবার বিকেলেও সে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ সেবন করে। এরপর বিষয়টি তার বাবা মাকে জানানো হয়। তার বাবা-মা তাকে বুঝান।

তিনি জানান, সবশেষ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুবি সবার অগোচরে বাসার ৫ তলার ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতোলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরায় ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গৃহকর্তার দাবি আত্মহত্যা

আপডেট সময় ১২:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আকাশ জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে একটি বাসায় রুবি বেগম (১৮) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে গৃহকর্তার দাবি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রুবি নেত্রকোনা সদর উপজেলার কচু দিয়ারী গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্তা মো. আনিস চৌধুরী দাবি করেন, আড়াই বছর ধরে তার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে রুবি। গ্রামে এক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল, সম্প্রতি ডিভোর্সও হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি। এটি নিয়ে শুক্রবারও রুবি ঘুমের ওষুধ সেবন করেছিলো। শনিবার বিকেলেও সে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ সেবন করে। এরপর বিষয়টি তার বাবা মাকে জানানো হয়। তার বাবা-মা তাকে বুঝান।

তিনি জানান, সবশেষ রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুবি সবার অগোচরে বাসার ৫ তলার ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতোলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।